Powered by Blogger.

Sample Text

About Me

বাংলাদেশে ২৭টি অসম্ভব সুন্দর জায়গা! আপনার বিশ্বাস হবেনা এগুলো স্থান বাংলাদেশে আছে!


বাংলাদেশে ২৭টি অসম্ভব সুন্দর জায়গা ! 

আপনার বিশ্বাস হবেনা এগুলো স্থান বাংলাদেশে আছে !


অনেকেই বলেন বাংলাদেশে কোন সুন্দর ঘোরার জায়গা নেই। কিন্তু এটা একটা সম্পূর্ন ভুল ধারনা। বাংলাদেশে এতো অসাধারন সব পর্যটন ক্ষেত্র রয়েছে যেগুলো না দেখলে বিশ্বাস হয়না। এখন আপনাদের দেখাবো এমন কিছু অসাধারন জায়গা। আপনারা অবসরে এগুলো থেকে সহজেই ঘুরে আসতে পারেন।
এই ছবিগুলোর কোনটিই আমাদের নিজেদের তোলা নয়। প্রতিটি ছবির ফটোগ্রাফারের নাম আমরা ছবির নিচে ম্যানশন করে দিয়েছি। যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এসব ছবি আমাদের সামনে তুলে এনেছেন তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।

১. সাজেক ভ্যালি, রাঙ্গামাটি।

Sajek Valley...Photo by Afzal Nazim Sajek Valley
Photo by Tarek Mahmud

রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালির পাহাড়ের উপরের দৃশ্য।

Beautiful BangladeshPhoto by Imran Bin Mazher I wanna climb the hills because I wanna vanish in clouds and their music
Photo by MD.ABDULLAH MAHMUD

২. কাপ্তাই লেক, রাঙ্গামাটি।

২. শুকনাছড়া ফলস, রাঙ্গামাটি।

৪. রাইখং লেক, পুকুয়ারপাড়া, রাঙ্গামাটি

Raikhong LakePhoto by TuheenBD

রাইখং ফলস, পুকুয়ারপাড়া, রাঙ্গামাটি

Waterfalls
Photo by TuheenBD

৫. নীলগিরি রিসোর্ট, বান্দরবান

Nilgiri Resort @ BandarbanPhoto by alauddin2008

নীলগিরি বান্দরবান থেকে সূর্যাস্ত

sunrise at Nilgiri, Bandarban Photo by Ishtiaque Ovee

৬. সাঙ্গু নদী, বান্দরবান

৭. কিউক্রাডং এর চূড়া থেকে

Goodmorning Keokaradang Photo by Faisal Akram

৮. বান্দরবানের বগা লেকের কাছ থেকে মিষ্টি পাহাড়

৯. বান্দরবানের বগা লেক

Boga Lake
Photo by Anwar Hussain

১০. বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়

Bandarban Chimbuk Range Hill View From Nilgiri Photo by Sharif Ripon

১১. জাদিপাই পাড়া, বান্দরবান

১২. জাদিপাই ফল, বান্দরবান

Jadipai Fall, Bandorban, Bangladesh Photo by Roy Udoy

১৩। নাফাখুম ফল, বান্দরবান

Nafakhum, BandarbanPhoto by Razequl Zibon

১৪. থানছি, বান্দরবান

Pan Thanchi 1
Photo by Sabbir Khan email: [email protected]//

১৫. আমিয়াখুম ফল, বান্দরবান

Amiakhum Waterfall Photo by Md Rasedul Hasan

১৬. রিজুক ফল, বান্দরবান

Rijuk falls ((Bandarban)

১৭. তাজিংডন, বান্দরবান

Tajingdong
Photo by Dr.Muntasir Moin

১৮. রাতারগুল জলাভূমির বন, সিলেট

Ratargul
Photo by Wild Priest

সিলেটের রাতারগুল জলাভূমির বনের আরেকটি দৃশ্য

04 Photo by Arefin Chisty

সিলেটের রাতারগুল জলাভূমির বন

১৯. জাফলং, সিলেট

JaflongPhoto by Neerod

২০. বিছনাকান্দি, সিলেট

Bichana Kandi _ sYlhet

সূত্র : বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক্যাল পেজ
http://www.banglaphotographyschool.com/ভ্রমন/বাংলাদেশে-৩৮-অসাধারন-জায়

ঘুরে আসুন রি-ছাং ঝরনা

ঘুরে আসুন রি-ছাং ঝরনা

( প্রকৃতি যেখানে মন ছুয়ে যায়) 


ঘুরে আসুন রি-ছাং ঝরনা
 
দে-ছুট ভ্রমণ সংঘের একদল সুখী ছেলে ঘুরে বেড়ায় সবখানে—নদী, সাগর, পাহাড় কিংবা গহীন অরণ্যে। সুযোগ পেলেই ছুটে চলে নিসর্গের সৌন্দর্যমণ্ডিত কোলে। তেমনি এক সুবর্ণ সুযোগে ঘর থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম নীল আসমানের সাথে পাহাড়ের মিতালি নিয়ে গর্বিত খাগড়াছড়ির পথে। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার সিনিয়র কর্মকর্তা এক বন্ধুর মাধ্যমে আগে থেকেই হোটেলের রুম বুকিং করা ছিল, তাই কোনো ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই সোজা রুমে গিয়ে উঠলাম। অতঃপর দে-ছুট ভ্রমণ সংঘের ফেস্টুন নিয়ে সিএনজিতে চেপে অপরূপ সৌন্দর্যের রি-ছাং ঝরনার পানে ছুটলাম। সিএনজি তার ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত দুজন নিয়ে সর্বোচ্চ গতিতে ভোঁ ভোঁ শব্দ তুলে পাহাড়ি পথে ছুটছে। দু’পাশে নজরকাড়া প্রকৃতি, মাঝে পিচঢালা উঁচু-নিচু পথ, কখনো কখনো মনে হয় আরেকটু সামনে এগোলেই হয়তো নীলাভ আকাশ ছুঁয়ে দেবে আমাদের, তবে আকাশের পরশ না পেলেও আলু টিলার মোড়ে মেঘের ভেলার সাথে দারুণ এক সাক্ষাত্ হয়েছে। সে এক অপার্থিব অনুভূতি, অজানা শিহরণ! শেষ বসন্তে পাহাড়ের নৈসর্গিক দৃশ্য দেখতে দেখতে একসময় পৌঁছে যাই রি-ছাং ঝরনার কাছাকাছি। সিএনজি আর যাবে না। শুরু এখন পাহাড়ি পথে পায়ে হাঁটা। কখনো উঁচু আবার কখনো নিচু এভাবে চড়াই-উতরাই পেরিয়ে পৌঁছতে হবে জলধারার কাছে। আগের দিন তৈদু দেখতে গিয়ে সারা দিন ট্র্যাকিং করার কারণে শরীর কিছুটা ক্লান্ত ছিল, তারপরেও প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে সেদিন কোনো কষ্টই কঠিন মনে হয়নি। প্রায় চল্লিশ মিনিট চড়াই-উতরাই পেরিয়ে হাজির হলাম দৃষ্টিনন্দন ঝরনাটির সামনে। বিশাল জলরাশি অবিরাম ধারায় গড়িয়ে পড়ছে তার নিয়মিত ছন্দে। রি-ছাং হলো মারমা শব্দ। ‘রি’-এর বাংলা মানে হলো পানি আর ‘ছাং’ হলো গড়িয়ে পড়া। আশ্চর্য! নামের সঙ্গে ঝরনার বৈশিষ্ট্যের হুবহু মিল রয়েছে।
 
পাথুরে পাহাড়ের মাঝে হৈ-হুল্লোড় করে রি-ছাং ঝরনার পানিতে নিজেদের সমর্পণ করি। প্রচণ্ড গতিতে প্রায় ষাট ফিট উপর থেকে পানি পড়ার রিমঝিম শব্দ। দেশের অন্যান্য ঝরনার তুলনায় এই ঝরনার বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। পর্যটকেরা অত্যন্ত নিরাপদে এর জলে নিজেকে মন ভরে ভিজাতে পারে। কেউ কেউ শৈশবের স্মৃতি হাতড়ে স্লিপও খেতে পারবে! আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিজছি। ভেজার স্বাদ যেন মিটছেই না, সাথে অসংখ্যবার স্লিপ। শেষে দেখি থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট আন্ডার গার্মেন্টসসহ ছিঁড়ে গেছে। দীর্ঘ সময় ভেজার পর এবার দে-ছুটের স্বভাবসুলভ আচরণ—ঝরনার পানির উেসর দিকে পা বাড়ানো। পিচ্ছিল পথ আর লতাগুল্ম ছাড়িয়ে এগিয়ে যাই উপরের দিকে। একসময় উেসর মুখে এসেও যাই, তবে সে পথ ছিল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ, কিন্তু আমরা পেয়েছি মহা আনন্দ। পানির উেসর মুখে গিয়ে তো আমাদের চোখ কপালে। দারুণ! কত ঝরনারই তো উত্স দেখেছি কিন্তু এমন আকৃতির আর একটিও কোথাও দেখিনি। প্রাকৃতিকভাবেই তৈরি হয়েছে যেন সুইমিংপুল। ইচ্ছে হলে সাঁতারও কাটা যাবে। চোখ বন্ধ করে ভাবুন তো একবার, সম্পূর্ণ বুনো পরিবেশে হাজার ফিট উপরে সাঁতার কাটতে কেমন লাগবে আপনার? খোশ মেজাজে সাঁতার কাটলাম। এ জনমে যতগুলো ঝরনায় দেহ-মন ভিজিয়েছি, তার মধ্যে সবচেয়ে আনন্দময় এবং নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে প্রকৃতির এই রহস্যময় সৃষ্টি রি-ছাং ঝরনা। আকাশ ছোঁয়া পাহাড়ি বৃক্ষের ছায়া, ঘন জঙ্গলের বুনো গন্ধ, অচেনা পাখির মিষ্টি সুর ভ্রমণ পিপাসুদের মন ছুঁয়ে যায়। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ যদি একটু নজর দেয় তাহলে আমাদের প্রকৃতির কন্যা রি-ছাং ঝরনা ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য হয়ে উঠবে এক অনবদ্য বিনোদন মঞ্চ।
 
পাহাড় চূড়ায় দাঁড়িয়ে আমরা স্বকণ্ঠে জনপ্রিয় সেই গানটি গেয়ে উঠি, ‘ঘরছাড়া এক সুখী ছেলে, আনমনে আজ এই ক্ষণে। চলে গেছে দূরে কোথাও, ঠিকানাগুলো ছিঁড়ে ফেলে’। প্রথম লাইনটি দে-ছুটের জন্য প্রযোজ্য হলেও শেষের লাইনটির সাথে আমাদের সম্পর্ক নেই। কারণ দে-ছুট ভ্রমণ সংঘের বন্ধুরা বন-বাদাড়ে ভ্রমণের পাশাপাশি নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে থাকে। বন্ধুরা ছুটে যান অজানা এক ভালোলাগার মায়াবী সৌন্দর্যের হাতছানি রি-ছাং ঝরনার পানে।
 
খাগড়াছড়ি ভ্রমণে আরও যা দেখবেন :আলুটিলা গুহা, দেবতার পুকুর, ডিজনি ল্যান্ড, বন বিহার এবং শান্তিপুর  অরণ্য কুটির।
 
 
যোগাযোগ

ঢাকার গাবতলী ও সায়েদাবাদ থেকে দিনে-রাতে বিভিন্ন পরিবহনের বাস যায় খাগড়াছড়ি।
 
 
ভাড়া
 
৫৭০ টাকা। রাত যাপনের জন্য খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেল, শহরের শাপলা চত্বরে শৈল সুবর্ণা ও জিরানসহ বেশকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। ভাড়া ১১০০-৫০০০ টাকার মধ্যে। তবে চেঙ্গিস ব্রিজের পাশে পর্যটন মোটেলে রাত কাটানোর আনন্দই হবে আলাদা। খরচ জনপ্রতি দুইদিনের জন্য সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা।
 
 
সতর্কতা
 
নিরাপদ ভ্রমণের জন্য অপরিচিত কারো সঙ্গে হুট করে ঘনিষ্ঠ হতে যাবেন না।

সংগৃহীত : মো. জাভেদ-বিন-এ হাকিম( দৈনিক ইত্তেফাক)

অপরুপ সৌন্দর্যের আধার হাকালুকি হাওর

হাকালুকি হাওর
হাকালুকি হাওর বাংলাদেশের বৃহত্তম হাওর। বর্ষাকালে বিস্তৃত জলরাশিতে এ হাওরের রূপ দেখে মনে হয় যেন ভাসমান সাগর। এটি মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলায় অবস্থিত।
মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জুরী, কুলাউড়া এবং সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় এর বিস্তৃতি। হাওরের আয়তন প্রায় ১৮,১১৫ হেক্টর। উল্লেখ্য হাওর শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘সাগর’এর বিকৃত রূপ বলে ধারণা করা হয়। অর্থাৎ হাওরের উৎপত্তি হয়েছে এভাবে-সাগর>সাওর>হাওর।
হাকালুকি হাওর
জলের মাঝে মাঝে দুই-একটি বর্ষীয়ান হিজল, তমাল বৃক্ষ। অথচ শীতকালে বিস্তৃত এই হাওর ধু-ধু সবুজপ্রান্তর, কোথাও বা ধান ক্ষেত এবং খানাখন্দ নিচু ভূমিতে প্রায় ২৩৬টি বিলের সমষ্টি। হাকালুকি হাওর মাছের জন্য প্রসিদ্ধ। বাংলাদেশের সংরক্ষিত জলাভূমি এই হাওর । শীত মৌসুমে এশিয়ার উত্তরাংশের সাইবেরিয়া থেকে প্রায় ২৫ প্রজাতির হাঁস এবং জলচর নানা অতিথি পাখি এখানে আসে। এছাড়া স্থানীয় প্রায় ১০০ প্রজাতির পাখি সারাবছর এখানে দেখা মেলে।
হাকালুকি হাওর
ধু-ধু প্রান্তরের এই চারণভূমি ও বিলগুলো মানুষের জীবন-জীবিকা এবং অতিথি পাখির কলকাকলি অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটককে দুর্বার আকর্ষণে রোমাঞ্চের হাতছানি দেয়। হাকালুকি হাওরে অনেক প্রজাতির মাছও পাওয়া যায়।  জলজ উদ্ভিদের মধ্যে বিলুপ্ত প্রায় মাকনা হাওর অঞ্চলের পুটি, হিঙ্গাজুর, হাওয়া প্রভৃতি বিলে যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যমান। এ হাওর সংরক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও প্রতিটি বিল সাধারণত ৩ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়ে থাকে। ফলে মৎস সম্পদ আহরণের জন্য পানি সেচে ফেলার কারণে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ দারুণভাবে বিপন্ন হয়ে পড়ছে। পালাক্রমে বিলগুলোতে মাছ ধরা হয়। যেসব বিলে মাছ ধরা হয় না সেসব বিল পাখি ও জলজ উদ্ভিদের জন্য মনোরম আবাসস্থলে পরিণত হয়।
কিভাবে  যাবেনঃ
ঢাকা থেকে ট্রেনে অথবা বাসে কুলাউড়া শহর। সেখান থেকে রিকশা যোগে পছন্দমতো বিলের নিকটমতো গ্রাম অতঃপর ট্রেকিং।
কোথায় থাকবেনঃ
বিল মালিকের অনুমতি নিয়ে আপনি হাওর এলাকায় বিল ইজারাদারদের দোচালা কুটিরগুলোয় থাকতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় বিল এলাকায় তাঁবু ফেলে রাত্রি যাপন। জোছনা রাতে তাঁবুতে যাপন, পাখি পর্যবেক্ষণ যে কোনও অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটককে বিমোহিত করবে।
কেমন খরচ হবেঃ
ঢাকা থেকে কুলাউড়া ট্রেন ভ্রমণে খরচ শ্রেণীভেদে ১৩০ থেকে ৪৫০ টাকা। এসি বাসে ভাড়া যথাক্রমে ৩৫০ টাকা এবং ৩০০ টাকা। কুলাউড়া শহর থেকে অটোরিকশা ভাড়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকা এবং রিকশা ভাড়া ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকার মধ্যে।
হাকালুকি হাওর ভ্রমণের সেরা সময়ঃ 
নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় হাওর ভ্রমণের জন্য সেরা। এসময় এখানে প্রচুর পরিমানে অতিথি পাখির কলকাকলিতে চারদিক মুখর থাকে। জলজ উদ্ভিদ, মাছপ্রেমীদের জন্য এটা সেরা মৌসুম।
সঙ্গে যা নিতে হবেঃ
ভালো বড় ব্যাগ, তাঁবু, ম্যাট, এয়ার পিলো, রেইন কোট, শীতের উপযোগী জ্যাকেট, গামছা, কাদা-পানিতে চলন উপযোগী রাবারের নাগরা জুতা, পাখি পর্যবেক্ষণের জন্য বাইনোকুলার, ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যাটারি, মেমরিকার্ড, শুকনো খাবার, চা, চিনি দুই-একদিনের জন্য রেশন, প্রাথমিক ওষুধ-চিকিৎসা সরঞ্জাম ইত্যাদি।
খাওয়া দাওয়াঃ
সঙ্গে আনা চাল-জলের রেশন হাওর এলাকার শ্রমজীবী মানুষকে সামান্য কিছু টাকা দিলে পছন্দ মতো টাটকা মাছের ঝোলের তরকারি দিয়ে তা পরিবেশন করবে অথবা ওদের সঙ্গেও সুস্বাদু খাবার শেয়ার করা যাবে অনায়াসে। এখানকার বাথানে গরু-মহিষের দুধও খুব সস্তায় পাওয়া যায়। সঙ্গে হালকা চা, নাশতা, বিস্কুট, পাউরুটি নিলে খুব ভালো হয়।

সুএ  <> বিডিনিউজডেস্ক

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানের নামের তালিকা

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানের নামের তালিকা


আমরা সবাই কম-বেশি ঘুরতে পছন্দ করি। কিন্তু অনেকে আবার ইচ্ছা থাকা শর্তেও নিজের জেলার দর্শনীয় স্থানে যেতে পারেন না এমনকি নামও জানেন না! তাদের জন্য খুব সংক্ষিপ্ত করে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলার দর্শনীয় স্থানের তালিকা দেওয়া হলো। ঘুরতে যাওয়া না হোক, নামগুলোতো জানা হলো। দেখুন আপনার জেলায় কোন কোন দর্শনীয় স্থান রয়েছে ? ভালো লাগলে মন্তব্য করবেন আর কোন নাম বাদ পরলে তা মন্তব্যের ঘরে সংযুক্ত করার অনুরোধ রইলো। পরে আমি তা এডিট করে মূল পোস্টে সংযুক্ত করে দিবো। সবাই ভালো থাকবেন।


ঢাকা বিভাগ


ঢাকা



বায়তুল মোকাররম মসজিদ,



পুরোন ঢাকার তারা মসজিদ


আহছান মঞ্জিল,





বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর, রাস্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মা/মেঘনা, ঢাকেশ্বরী মন্দির, কাজী নজরুল ইসলামের মাজার, বিমানবন্দর, সোনারগাঁও, বিজয় সরণি ফোয়ারা, বসুন্ধরা সিটি, বাকল্যান্ড বাঁধ, বলধা গার্ডেন, অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্য, জাতীয় ঈদগাহ ময়দান, শাহআলী বোগদাদির মাজার, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন, জাতীয় জাদুঘর, ক্রিসেন্ট লেক, শিশুপার্ক, বাংলাদেশ-জাপান মৈত্রী সেতু-১, বাংলাদেশ-জাপান মৈত্রী সেতু-২, বাংলাদেশ-জাপান সেতু, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, হোটেল সোনারগাঁও, কবিভবন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শাহী মসজিদ, জয়কালী মন্দির, আসাদ গেট, বড় কাটারা, শাপলা চত্বর ফোয়ারা, ঢাকা শহররক্ষা বাঁধ, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ভাস্কর্য, পল্টন ময়দান, অস্ত্র তৈরির কারখানা, শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তন, লোকশিল্প জাদুঘর, গুলশান লেক, ওসমানী উদ্যান, গণভবন, জাতীয় সংসদ ভবন, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়াম, হোটেল শেরাটন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, ধানমন্ডি ঈদগাহ, কমলাপুর বৌদ্ধবিহার- কমলাপুর, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, ঢাকা তোরণ, বাংলা একাডেমী গ্রন্থাগার, ছোট কাটারা-চকবাজারের দক্ষিণে, কদম ফোয়ারা, বিমাবন্দর রক্ষাবাঁধ, জাগ্রত মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর্য, স্বাধীনতা জাতীয় স্কোয়ার, মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান জাদুঘর, রমনা লেক-রমনা পার্ক, যমুনা ভবন, তিন নেতার স্মৃতিসৌধ, মিরপুর স্টেডিয়াম, হোটেল পূর্বাণী-মতিঝিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলিস্তান পার্ক, বিনত বিবির মসজিদ, শাক্যমুনি বৌদ্ধবিহার, খ্রিস্টান কবরস্থান, বিমানবাহিনীর সদর দফতর গেট, আওরঙ্গবাদ দুর্গ-লালবাগ, সার্ক ফোয়ারা, দুরন্ত ভাস্কর্য-শিশু একাডেমী, বিশ্ব ইজতেমা ময়দান-টঙ্গী, ধানমন্ডি লেক-ধানমন্ডি, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়, চক মসজিদ, গুরুদুয়ারা নানক শাহী, হোসনি দালান, বলাকা ভাস্কর্য, মহানগর নাট্যমঞ্চ, সামরিক জাদুঘর, রাজারবাগ শহীদ স্মৃতিসৌধ, শিখা অনির্বাণ, সাত গম্বুজ মসজিদ, কাকরাইল চার্চ, দোয়েলচত্বর ভাস্কর্য, মহিলা সমিতি মঞ্চ, হাইকোর্ট ভবন, মহাকাশবিজ্ঞান ভবন, নভোথিয়েটার, তারা মসজিদ, লালবাগ দুর্গ, বাহাদুর শাহ পার্ক, পুলিশ মিউজিয়াম, বোটানিক্যাল গার্ডেন, জাতীয় আর্কাইভস, রাজউক, ফ্যান্টাসি কিংডম, নন্দন পার্ক, ওয়ান্ডারল্যান্ড, শিশুপার্ক, শ্যামলী শিশুমেলা।

lalbagh-fort

ফরিদপুর

গেরদা মসজিদ, পাতরাইল মসজিদ ও দীঘি, বাসদেব মন্দির, পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি ও কবরস্থান, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট, জগদ্বন্ধু সুন্দরের আশ্রম, সাতৈর মসজিদ , ফাতেহাবাদ টাকশাল মথুরাপুর দেউল, বাইশ রশি জমিদার বাড়ি, জেলা জজ কোর্ট ভবন , ভাঙা মুন্সেফ কোর্ট ভবন, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ জাদুঘর।
গাজীপুর

জাগ্রত চৌরঙ্গী, ছয়দানা দীঘি ও যুদ্ধক্ষেত্র, উনিশে স্মারক ভাস্কর্য, আনসার-ভিডিপি একাডেমী স্মারক ভাস্কর্য, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কর্নার, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, রাজবাড়ি শ্মশান, শৈলাট , ইন্দ্রাকপুর, কপালেশ্বর, রাজা শিশুপালের রাজধানী, একডালা দুর্গ (প্রাচীন ও ধ্বংসপ্রাপ্ত), মীর জুমলার সেতু, সাকাশ্বর স্তম্ভ, বঙ্গতাজ তাজউদ্দিনের বাড়ি, বিজ্ঞানী মেঘনাথ সাহার বাড়ি, রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত কাওরাইদ বাংলো, ভাওয়াল রাজবাড়ি, বলধার জমিদারবাড়ি, পূবাইল জমিদারবাড়ি, বলিয়াদী জমিদারবাড়ি, কাশিমপুর জমিদারবাড়ি, দত্তপাড়া জমিদারবাড়ি, হায়দ্রাবাদ দীঘি, ভাওয়াল কলেজ দীঘি, রাহাপাড়া দীঘি, টেংরা দীঘি, তেলিহাটী দীঘি, সিঙ্গার দীঘি (পালরাজাদের রাজধানী নগরী), সিঙ্গার দীঘি, কাউছি টিহর, কর্ণপুর দীঘি, চৌড়াদীঘি, মাওনা দীঘি, ঢোলসমুদ্র দীঘি ও পুরাকীর্তি, রাজবিলাসী দীঘি, কোটামুনির ডিবি ও পুকুর, মনই বিবি-রওশন বিবির দীঘি (চান্দরা), মকেশ্বর বিল, বিল বেলাই, উষ্ণোৎস, গঙ্গা (সরোবর) তীর্থক্ষেত্র, ভাওয়াল রাজশ্মশানেশ্বরী, টোক বাদশাহী মসজিদ, সমাধিক্ষেত্র (কবরস্থান), চৌড়া, কালীগঞ্জ সাকেশ্বর আশোকামলের বৌদ্ধস্তম্ভ (ধর্মরাজিকা), পানজোড়া গির্জা, ব্রাহ্মমন্দির, সমাধিক্ষেত্র, গুপ্ত পরিবার, সেন্ট নিকোলাস (চার্চ), বক্তারপুর, ঈশা খাঁর মাজার, তিমুলিয়া গির্জা।

গোপালগঞ্জ


বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ,

চন্দ্রভর্ম ফোর্ট ( কোটাল দুর্গ), মুকসুদপুরের ঐতিহাসিক নিদর্শন, বহলতলী মসজিদ, ধর্মরায়ের বাড়ি, থানাপাড়া জামে মসজিদ, খাগাইল গায়েবি মসজিদ, কোর্ট মসজিদ, সেন্ট মথুরানাথ এজি চার্চ, সর্বজনীন কালীমন্দির, বিলরুট ক্যানেল, আড়পাড়া মুন্সীবাড়ি, শুকদেবের আশ্রম, খানার পাড় দীঘি, উলপুর জমিদারবাড়ি, ’৭১-এর বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ (স্মৃতিস্তম্ভ)।
জামালপুর

হজরত শাহ জামালের (রহ.) মাজার, হজরত শাহ কামালের (রহ.) মাজার, পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট রসপাল জামে মসজিদ (উনবিংশ শতাব্দী), নরপাড়া দুর্গ (ষোড়শ শতাব্দী), গান্ধী আশ্রম, দয়াময়ী মন্দির, দেওয়ানগঞ্জের সুগার মিলস, লাউচাপড়া পিকনিক স্পট।
কিশোরগঞ্জ

ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি, এগারসিন্ধুর দুর্গ, কবি চন্দ্রাবতীর শিবমন্দির, দিল্লির আখড়া, শোলাকিয়া ঈদগাহ, পাগলা মসজিদ, ভৈরব সেতু, হাওরাঞ্চল, সুকুমার রায়ের বাড়ি, জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, দুর্জয় স্মৃতিভাস্কর্য।
মাদারীপুর

হজরত শাহ মাদারের দরগাহ, আলগী কাজিবাড়ি মসজিদ, রাজা রামমন্দির ঝাউদিগিরি, আউলিয়াপুর নীলকুঠি, মিঠাপুর জমিদারবাড়ি, প্রণব মঠ, বাজিতপুর, মঠের বাজার মঠ, খোয়াজপুর, খালিয়া শান্তি কেন্দ্র, পর্বতের বাগান, শকুনী লেক, সেনাপতির দীঘি।
মানিকগঞ্জ

বালিয়াটি প্রাসাদ, তেওতা জমিদারবাড়ি, তেওতা নবরত্ন মঠ, মানিকগঞ্জের মত্তের মঠ, রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম, শিব সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীবাড়ি, গৌরাঙ্গ মঠ, নারায়ণ সাধুর আশ্রম, মাচাইন গ্রামের ঐতিহাসিক মাজার ও পুরনো মসজিদ, বাঠইমুড়ি মাজার।
মুন্সীগঞ্জ

বল্লাল সেনের দীঘি, হরিশ্চন্দ্র রাজার দীঘি, রাজা শ্রীনাথের বাড়ি, রামপাল দীঘি, কোদাল ধোয়া দীঘি, শ্রীনগরের শ্যামসিদ্ধির মঠ, সোনারংয়ের জোড়া মঠ, হাসারার দরগাহ, ভাগ্যকূল রাজবাড়ি, রাঢ়ীখালে জগদীশচন্দ্র বসুর বাড়ি, কুসুমপুরে তালুকদার বাড়ি মসজিদ, তাজপুর মসজিদ, পাথরঘাটা মসজিদ, কাজীশাহ মসজিদ, পোলঘাটার ব্রিজ, পাঁচ পীরের দরগাহ, সুখবাসপুর দীঘি, শিকদার সাহেবের মাজার, বার আউলিয়ার মাজার, শহীদ বাবা আদমের মসজিদ, ইদ্রাকপুর কেল্লা, অতীশ দীপঙ্করের পন্ডিতভিটা, হরগঙ্গা কলেজ গ্রন্থাগারে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আশুতোষ গাঙ্গুলীর আবক্ষ মার্বেল মূর্তি।
ময়মনসিংহ

শশী লজ, গৌরীপুর লজ, আলেকজান্ডার ক্যাসেল, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা, স্বাধীনতাস্তম্ভ, ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী পার্ক, ময়মনসিংহ জাদুঘর, বোটানিক্যাল গার্ডেন, নজরুল স্মৃতি কেন্দ্র, মুক্তাগাছা জমিদারবাড়ি, মহারাজ সূর্যকান্তের বাড়ি, গৌরীপুর রাজবাড়ি, বীরাঙ্গনা সখিনার মাজার, রামগোপাল জমিদারবাড়ি, ফুলবাড়িয়া অর্কিড বাগান, চীনা মাটির টিলা, আবদুল জববার স্মৃতি জাদুঘর, কুমিরের খামার, তেপান্তর ফিল্ম সিটি।
নারায়ণগঞ্জ

লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, হাজীগঞ্জে ঈশা খাঁর কেল্লা, কদমরসুল দরগাহ, পাঁচ পীরের দরগাহ, ইপিজেড আদমজী, মেরিন একাডেমী, লাঙ্গলবন্দ, সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের সমাধি, সোনাকান্দা দুর্গ, সালেহ বাবার মাজার, গোয়ালদী মসজিদ, সুলতান জালাল উদ্দিন ফতেহ শাহের এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ, পাগলা ব্রিজ, বন্দর শাহী মসজিদ, মেরী এন্ডারসন (ভাসমান রেস্তোরাঁ), বিবি মরিয়মের মাজার, রাসেল পার্ক, জিন্দাপার্ক।
নরসিংদী

উয়ারী বটেশ্বর, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান জাদুঘর, সোনাইমুড়ি টেক, আশ্রাবপুর মসজিদ, ইরানি মাজার, দেওয়ান শরীফ মসজিদ, গিরিশ চন্দ্র সেনের বাস্ত্তভিটা।
নেত্রকোনা

উপজাতীয় কালচারাল একাডেমী, বিজয়পুর পাহাড়ে চিনামাটির নৈসর্গিক দৃশ্য, রানীখং মিশন, টংক শহীদ স্মৃতিসৌধ, রানীমাতা রাশমণি স্মৃতিসৌধ, কমলা রানী দীঘির ইতিহাস, নইদ্যা ঠাকুরের (নদের চাঁদ) লোক-কাহিনী, সাত শহীদের মাজার, হজরত শাহ সুলতান কমরউদ্দিন রুমির (রহ.) মাজার, রোয়াইলবাড়ি কেন্দুয়া।
রাজবাড়ী

চাঁদ সওদাগরের ঢিবি (মনসামঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র চাঁদ সওদাগরের স্মৃতিচিহ্ন), মথুরাপুর প্রাচীন দেউল, শাহ পাহলোয়ানের মাজার, দাদ্শী মাজার, জামাই পাগলের মাজার, নলিয়া জোডা বাংলা মন্দির, সমাধিনগর মঠ (অনাদি আশ্রম), রথখোলা সানমঞ্চ, নীলকুঠি, মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্র, দৌলতদিয়া ঘাট।
শরীয়তপুর

মগর, মহিষারের দীঘি, রাজনগর, কুরাশি, বুড়ির হাটের মসজিদ, হাটুরিয়া জমিদারবাড়ি, রুদ্রকর মঠ, রাম সাধুর আশ্রম, জমিদারবাড়ি, মানসিংহের বাড়ি, শিবলিঙ্গ, সুরেশ্বর দরবার, পন্ডিতসার, ধানুকার মনসাবাড়ি।
শেরপুর

গড় জরিপার দুর্গ , দরবেশ জরিপ শাহের মাজার, বারদুয়ারী মসজিদ, হযরত শাহ কামালের মাজার, শের আলী গাজীর মাজার, কসবার মুগল মসজিদ, ঘাঘরা লস্কর বাড়ী মসজিদ, মাইসাহেবা মসজিদ, নয়আনী জমিদারের নাট মন্দির, আড়াই আনী জমিদার বাড়ি, পৌনে তিন আনী জমিদার বাড়ি, গজনী অবকাশ কেন্দ্র।
টাঙ্গাইল

আতিয়া মসজিদ, শাহ্ আদম কাশ্মিরির মাজার, পরীর দালান, খামারপাড়া মসজিদ ও মাজার, ঝরোকা, সাগরদীঘি, গুপ্তবৃন্দাবন, পাকুটিয়া আশ্রম, ভারতেশ্বরী হোমস, মহেড়া জমিদারবাড়ি/পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, পাকুল্লা মসজিদ, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল/কলেজ, নাগরপুর জমিদারবাড়ি, পুন্ডরীকাক্ষ হাসপাতাল, উপেন্দ্র সরোব, গয়হাটার মঠ, তেবাড়িয়া জামে মসজিদ, পাকুটিয়া জমিদারবাড়ি, বঙ্গবন্ধু সেতু, এলেঙ্গা রিসোর্ট, যমুনা রিসোর্ট, কাদিমহামজানি মসজিদ, ঐতিহ্যবাহী পোড়াবাড়ি, সন্তোষ, করটিয়া সা’দত কলেজ, কুমুদিনী সরকারি কলেজ, বিন্দুবাসিনী বিদ্যালয়, মধুপুর জাতীয় উদ্যান, দোখলা ভিআইপ রেস্ট হাউস, পীরগাছা রাবারবাগান, ভূঞাপুরের নীলকুঠি, শিয়ালকোল বন্দর, ধনবাড়ি মসজিদ ও নবাব প্যালেস, নথখোলা স্মৃতিসৌধ, বাসুলিয়া, রায়বাড়ী, কোকিলা পাবর স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ।




Golden temple

রাজশাহী বিভাগ

বগুড়া

মহাস্থানগড়, ভাসু-বিহার, গোকুল মেধ, শাহ্ সুলতান বলখি মাহী সাওয়ারের মাজার, ভবানীপুর শিবমন্দির, ভবানী মন্দির, খেড়ুয়া মসজিদ, মোহাম্মদ আলী প্যালেস মিউজিয়াম, গ্রায়েন বাঁধ, ওয়ান্ডারল্যান্ড, মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ

ছোট সোনা মসজিদ, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের সমাধি, দারসবাড়ী মসজিদ ও মাদ্রাসা, দারসবাড়ী মসজিদের প্রস্তরলিপি, খঞ্জনদীঘির মসজিদ, ধনাইচকের মসজিদ, চামচিকা মসজিদ, তিন গম্বুজ মসজিদ ও তাহখানা, তাহখানা কমপ্লেক্স, শাহ্ নেয়ামতউল্লাহ (রহ.) মাজার, শাহ নেয়ামতউল্লাহর সমাধি, কোতোয়ালি দরওয়াজা, দাফেউল বালা, বালিয়াদীঘি, খঞ্জনদীঘি, কানসাটের জমিদারবাড়ি, তরতীপুর, চাঁপাই জামে মসজিদ, মহারাজপুর জামে মসজিদ, মাঝপাড়া জামে মসজিদ, হজরত বুলন শাহর (রহ.) মাজার, সর্ববৃহৎ দুর্গাপূজা, মহারাজপুর মঞ্চ, বারঘরিয়া মঞ্চ, জোড়া মঠ।
জয়পুরহাট

আছরাঙ্গা দীঘি, নান্দাইল দীঘি, লকমা রাজবাড়ি, পাথরঘাটা নিমাই পীরের মাজার, গোপীনাথপুর মন্দির, দুওয়ানী ঘাট, বারশিবালয় মন্দির, হিন্দা-কসবা শাহী জামে মসজিদ, পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি, কড়ই কাদিপুর বধ্যভূমি, সেভেনথ ডে অ্যাডভেন্টিস মারানাথা সেমিনার খনজনপুর খ্রিস্টান মিশনারি স্মৃতিস্তম্ভ-৭১, শিশু উদ্যান।
পাবনা

ভাঁড়ারা শাহী মসজিদ, জোড়বাংলার মন্দির, তাড়াশ বিল্ডিং, পাবনা ক্যাডেট কলেজ, প্রশান্তি ভুবন বিনোদন পার্ক, অনুকূল ঠাকুর টেম্পল, পাবনা মানসিক হাসপাতাল, সমন্বিত লাগসই কৃষি প্রযুক্তি জাদুঘর, চাটমোহর শাহী মসজিদ, সমাজ শাহী মসজিদ, হান্ডিয়াল জগন্নাথ মন্দির, হরিপুর জমিদারবাড়ি পুকুর, মথুরাপুর মিশন, চলনবিলের সূর্যাস্ত, বড়াল ব্রিজ রেলসেতু, বৃদ্ধমরিচ শাহী মসজিদ, জমিদার রানীর পুকুরঘাট, শেখ শাহ্? ফরিদ (রহ.) মসজিদ, লর্ড হার্ডিঞ্জ রেল সেতু, লালন শাহ সেতু, ঈশ্বরদী রেলজংশন, ঈশ্বরদী ইপিজেড, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর, কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, শহীদনগর স্মৃতিস্তম্ভ, বেঙ্গল মিট, সুজানগর আজিম চৌধুরীর জমিদারবাড়ি, গাজনার বিল, হজরত মাহতাব উদ্দিন শাহ আউলিয়ার মাজার, তাঁতীবন্দ জমিদারবাড়ি, নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট, কৈটোলা নিষ্কাশন পাম্প হাউস, বেড়া পাম্প হাউস ও স্লুইসগেট, হুরাসাগর নদীর তীরে বেড়া পোর্ট।
নওগাঁ

কুশুম্বা মসজিদ, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, পতিসর রবীন্দ্র কাচারিবাড়ি, দিব্যক জয়সত্মম্ভ, মাহি সমেত্মাষ, বলিহার রাজবাড়ি, আলতাদীঘি, জগদলবাড়ি, হলুদবিহার, দুবলহাটি জমিদারবাড়ি।
নাটোর

উত্তরা গণভবন, রানী ভবানী রাজবাড়ি, লুর্দের রানী ধর্মপল্লী, বোর্নি মারিয়াবাদ ধর্মপল্লী।
রাজশাহী

হজরত শাহ মখদুম রূপোষের (রহ.) দরগা, পুঠিয়া রাজবাড়ি, পুঠিয়া বড় আহ্নিক মন্দির, পুঠিয়া বড় শিবমন্দির, পুঠিয়া দোলমন্দির, পুঠিয়া গোবিন্দ মন্দির, বাঘা মসজিদ, দুই গম্বুজবিশিষ্ট কিসমত মাড়িয়া মসজিদ, এক গম্বুজবিশিষ্ট রুইপাড়া (দুর্গাপুর) জামে মসজিদ, বাগধানী মসজিদ (পবা), তিন গম্বুজবিশিষ্ট ভাগনা (তানোর) জামে মসজিদ, হজরত শাহ্ সুলতান (র.)-এর মাজার, চতুর্দশ শতাব্দী), দেওপাড়া প্রশস্তি, বড়কুঠি (অষ্টাদশ শতাব্দী), তালোন্দ শিব মন্দির, রাজশাহী বড়কুঠি, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, রাজশাহী কলেজ, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী, রাজশাহী।
সিরাজগঞ্জ

বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতু, মখদুম শাহের মাজার, রবীন্দ্র কাচারিবাড়ি, চলনবিল, যাদব চক্রবর্তী নিবাস, ইলিয়ট ব্রিজ, শাহজাদপুর মসজিদ, জয়সাগর দীঘি, নবরত্ন মন্দির, ছয়আনি পাড়া দুই গম্বুজ মসজিদ, ভিক্টোরিয়া স্কুল, হার্ড পয়েন্ট, ইকো পার্ক, মিল্কভিটা, রাউতারা বাঁধ ও স্লুইসগেট, বাঘাবাড়ি নদীবন্দর।
রংপুর বিভাগ

দিনাজপুর

দিনাজপুর রাজবাড়ি, চেহেলগাজি মসজিদ ও মাজার, কান্তজিউর মন্দির, ঘোডাঘাট দুর্গ, সীতাকোট বিহার, সুরা মসজিদ, নয়াবাদ মসজিদ, রামসাগর, স্বপ্নপুরী, স্টেশন ক্লাব, কালেক্টরেট ভবন, সার্কিট হাউস ও জুলুমসাগর, দিনাজপুর ভবন, সিংড়া ফরেস্ট, হিলি স্থলবন্দর, বিরল স্থলবন্দর।
গাইবান্ধা

বর্ধনকুঠি, নলডাঙ্গার জমিদারবাড়ি, বামনডাঙ্গার জমিদারবাড়ি, ভতরখালীর কাষ্ঠ কালী, রাজা বিরাট, ভবানীগঞ্জ পোস্ট অফিস ও বাগুড়িয়া তহশিল অফিস।
কুড়িগ্রাম

চান্দামারী মসজিদ, শাহী মসজিদ, চন্ডীমন্দির, দোলমঞ্চ মন্দির, ভেতরবন্দ জমিদারবাড়ি, পাঙ্গা জমিদারবাড়ি ধ্বংসাবশেষ, সিন্দুরমতি দীঘি, চিলমারী বন্দর, শহীদ মিনার, স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলক, পাঙ্গা জমিদারবাড়ির কামান, বঙ্গ সোনাহাট ব্রিজ, মুন্সিবাড়ি।
লালমনিরহাট

তিন বিঘা করিডোর ও দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহল, তিস্তা ব্যারাজ ও অবসর রেস্ট হাউস, বুড়িমারী স্থলবন্দর, শেখ ফজলল করিমের বাড়ি ও কবর, তুষভান্ডার জমিদারবাড়ি, কাকিনা জমিদারবাড়ি, নিদাড়িয়া মসজিদ, হারানো মসজিদ, সিন্দুরমতি দীঘি, কালীবাড়ি মন্দির ও মসজিদ, বিমানঘাঁটি, তিস্তা রেলসেতু, হালা বটের তল, লালমনিরহাট জেলা জাদুঘর, দালাইলামা ছড়া সমন্বিত খামার প্রকল্প।
নীলফামারী

ধর্মপালের রাজবাড়ি, ময়নামতি দুর্গ, ভীমের মায়ের চুলা, হরিশচন্দ্রের পাঠ, সৈয়দপুরের চিনি মসজিদ, তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প, নীলফামারী জাদুঘর, কুন্দুপুকুর মাজার, দুন্দিবাড়ী স্লুইসগেট, বাসার গেট, স্মৃতি অম্লান।
পঞ্চগড়

ভিতরগড়, মহারাজার দীঘি, বদেশ্বরী মহাপীঠ মন্দির, সমতলভূমিতে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত চা-বাগান, মির্জাপুর শাহী মসজিদ, বার আউলিয়ার মাজার, গোলকধাম মন্দির, তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো, তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্নার, বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর, রকস্ মিউজিয়াম।
রংপুর

পায়রাবন্দ, তাজহাট জমিদারবাড়ি, কেরামতিয়া মসজিদ ও মাজার, ভিন্ন জগৎ, ঝাড়বিশলা।
ঠাকুরগাঁও

জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ, বালিয়াডাঙ্গী সূর্যপুরী আমগাছ, ফান সিটি অ্যামিউজমেন্ট পার্ক অ্যান্ড ট্যুরিজম লি., রাজভিটা, রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি, হরিপুর রাজবাড়ি, জগদল রাজবাড়ি, প্রাচীন রাজধানীর চিহ্ন নেকমরদ, পীর শাহ নেকমরদের মাজার, মহালবাড়ি মসজিদ, শালবাড়ি মসজিদ ও ইমামবাড়া, সনগাঁ শাহী মসজিদ, ফতেহপুর মসজিদ, মেদিনীসাগর জামে মসজিদ, গেদুড়া মসজিদ, গোরক্ষনাথ মন্দির, কূপ ও শিলালিপি, হরিণমারী শিবমন্দির, হরিপুর রাজবাড়ি শিবমন্দির, গোবিন্দনগর মন্দির, ঢোলরহাট মন্দির, ভেমটিয়া শিবমন্দির, মালদুয়ার দুর্গ, গড়গ্রাম দুর্গ, বাংলা গড়, গড় ভবানীপুর, গড়খাঁড়ি, কোরমখান গড়, সাপটি বুরুজ, দীঘি।
সিলেট বিভাগ

হবিগঞ্জ

বিথঙ্গল আখড়া, বানিয়াচং প্রাচী রাজবাড়ির ধংসাবশেষ, বানিয়াচং পুরানবাগ মসজিদ, সাগরদীঘি, হব্যা গোমার দারা গুটি, নাগুড়া ফার্ম, সাতছড়ি রিজার্ভ ফরেস্ট, কালেঙ্গা রিজার্ভ ফরেস্ট, রাবারবাগান, ফরুটসভ্যালি, সিপাহসালার হজরত শাহ সৈয়দ নাসির উদ্দিনের (রহ.) মাজার, লালচান্দ চা-বাগান, দেউন্দি চা-বাগান, লস্করপুর চা-বাগান, চন্ডীছড়া চা-বাগান, চাকলাপুঞ্জি চা-বাগান, চান্দপুর চা-বাগান, নালুয়া চা-বাগান, আমু চা-বাগান, রেমা চা-বাগান, দারাগাঁও চা-বাগান, শ্রীবাড়ী চা-বাগান, পারকুল চা-বাগান, সাতছড়ি চা-বাগান।
মৌলভীবাজার

চা-বাগান, মাধবকুন্ড, মাধবকুন্ড ইকো পার্ক, বর্ষিজোড়া ইকো পার্ক, হজরত শাহ মোস্তফার (রহ.) মাজার, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ।


Tree Garden

সুনামগঞ্জ

টাঙ্গুগুয়ার হাওর, হাছনরাজা মিউজিয়াম, লাউড়ের গড়, ডলুরা শহীদদের সমাধিসৌধ, টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প। বাগবাড়ি টিলা , সেলবরষ জামে মসজিদ, সুখাইড় কালীবাড়ি মন্দির, কাহালা কালীবাড়ি, মহেষখলা কালীবাড়ি, তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নে হলহলিয়া গ্রামে রাজা বিজয় সিংহের বাসস্থানের ধ্বংসাশেষ।
সিলেট

জাফলং, ভোলাগঞ্জ, লালাখাল, তামাবিল, হাকালুকি হাওর, ক্বীন ব্রিজ, হজরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহ পরানের (রহ.) মাজার, মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যদেবের বাড়ি, হাছনরাজার মিউজিয়াম, মালনীছড়া চা-বাগান, এমএজি ওসমানী বিমানবন্দর, পর্যটন মোটেল, জাকারিয়া সিটি, ড্রিমল্যান্ড পার্ক, আলী আমজাদের ঘড়ি, জিতু মিয়ার বাড়ি, মণিপুরী রাজবাড়ি, মণিপুরী মিউজিয়াম, শাহী ঈদগাহ, ওসমানী শিশুপার্ক।
বরিশাল বিভাগ

বরগুনা

বিবিচিনি শাহী মসজিদ, সোনারচর, লালদিয়ার বন ও সমুদ্র সৈকত, হরিণঘাটা, রাখাইন এলাকা, বৌদ্ধ মন্দির ও বৌদ্ধ একাডেমি।
বরিশাল

দুর্গাসাগর, কালেক্টরেট ভবন, চাখার প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর, রামমোহনের সমাধি মন্দির, সুজাবাদের কেল্লা, সংগ্রাম কেল্লা, শারকলের দুর্গ, গির্জামহল্লা, বেলস পার্ক, এবাদুল্লা মসজিদ, কসাই মসজিদ, অক্সফোর্ড গির্জা, শংকর মঠ, মুকুন্দ দাসের কালীবাড়ি, ভাটিখানার জোড়া মসজিদ, অশ্বিনী কুমার টাউন হল, চরকিল্লা, এক গম্বুজ মসজিদ, সাড়ে তিন মণ ওজনের পিতলের মনসা।
ভোলা

চরকুকরিমুকরি, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর, ওয়ান্ডার কিংডম, মনপুরা দ্বীপ।
ঝালকাঠি

সুজাবাদের কেল্লা, ঘোষাল রাজ বাড়ির ধ্বংসাবশেষ, নুরুল্লাপুর মঠ, সিভিল কোর্ট ভবন, সাতুরিয়া জমিদারবাড়ি, জীবনানন্দ দাশের মামাবাড়ি, কীর্তিপাশা জমিদারবাড়ি, গাবখান সেতু, ধানসিঁড়ি নদী, রূপসা খাল, নেছারাবাদ কমপ্লেক্স, পোনাবালিয়া মন্দির, সিদ্ধকাঠি জমিদারবাড়ি, নলছিটি পৌরভবন, মার্চেন্টস্ স্কুল, চায়না কবর, কামিনী রায়ের বাড়ি, কুলকাঠি মসজিদ, সুরিচোড়া জামে মসজিদ, শিবমন্দির, নাদোরের মসজিদ।
পটুয়াখালী


কুয়াকাটা বৌদ্ধবিহার, শ্রীরামপুর মিয়াবাড়ি মসজিদ, মিঠাপুকুর, কানাইবালাই দীঘি, কমলা রানীর দীঘি, সুলতান ফকিরের মাজার, নুরাইনপুর রাজবাড়ি, শাহী মসজিদ।
পিরোজপুর

রায়েরকাঠি জমিদারবাড়ি, মঠবাড়িয়ার সাপলেজা কুঠিবাড়ি, প্রাচীন মসজিদ, মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, শ্রীরামকাঠি প্রণব মঠ সেবাশ্রম, গোপালকৃষ্ণ টাউন ক্লাব, শেরেবাংলা পাবলিক লাইব্রেরি, মাঝের চর মঠবাড়িয়া, পাড়েরহাট জমিদারবাড়ি, বলেশ্বরঘাট শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ।
চট্টগ্রাম বিভাগ

বান্দরবান

মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র,


নীলাচল পর্যটন কমপ্লেক্স, চিম্বুক, শৈলপ্রপাত, বগালেক, স্বর্ণমন্দির, কেওক্রাডং, নীলগিরি, প্রান্তিক লেক, ঋজুক জলপ্রপাত, মিরিঞ্জা কমপ্লেক্স।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া

কালভৈরব, সৌধ হীরণ্ময়, হাতিরপুল, কেল্লা শহীদ মাজার, গঙ্গাসাগর দীঘি, উলচাপাড়া মসজিদ, কাজী মাহমুদ শাহ (রহ.) মাজার, ছতুরা শরীফ, নাটঘর মন্দির, বিদ্যাকুট সতীদাহ মন্দির।
চাঁদপুর

শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির, মনসামুড়া, দোয়াটি, সাহারপাড়ের দীঘি, উজানীতে বেহুলার পাটা, তুলাতলি মঠ, সাহেবগঞ্জ নীলকুঠি, লোহাগড় মঠ, রূপসা জমিদারবাড়ি, হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ, হজরত মাদ্দা খাঁ (রহ.) মসজিদ, বলাখাল জমিদারবাড়ি, নাসিরকোর্ট শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সমাধিস্থল, নাগরাজাদের বাড়ি, মঠ ও দীঘি, মঠ, নাওড়া, শাহরাস্তির (রহ.) মাজার, তিন গম্বুজ মসজিদ ও প্রাচীন কবর।
চট্টগ্রাম

ফয়স লেক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, চট্টগ্রাম শিশুপার্ক, জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর, আগ্রাবাদ, বাটালি হিল, ডিসি অফিস (পরীর পাহাড়), কোর্ট বিল্ডিং, ওয়ার সিমেট্রি (কমনওয়েলথ যুদ্ধসমাধি), ডিসি হিল, কদম মোবারক মসজিদ, শাহ্ আমানতের (রহ.) দরগা, বদর আউলিয়ার (রহ.) দরগা, বায়েজিদ বোস্তামির (রহ.) মাজার, শেখ ফরিদের চশমা, ওলি খাঁর মসজিদ, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ, হামজার মসজিদ, হামজারবাগ, পাথরঘাটা রোমান ক্যাথলিক গির্জা, চট্টগ্রাম বৌদ্ধবিহার, নন্দনকানন, কৈবল্যধাম, চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির, সীতাকুন্ড, বাঁশখালী ইকোপার্ক, সীতাকুন্ড ইকোপার্ক।

কুমিল্লা


শালবন বিহার ও প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের সমাধিক্ষেত্র ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) শাহ সুজা মসজিদ, জগন্নাথ মন্দির, ধর্মসাগর, বৌদ্ধবিহারের ধ্বংসাবশেষ, রূপবানমুড়া ও কুটিলামুড়া, বার্ডসংলগ্ন জোড়কানন দীঘি, জগন্নাথ দীঘি, বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন, শ্রী শ্রী রামঠাকুরের আশ্রম, রামমালা পাঠাগার ও নাটমন্দির, লাকসাম রোড, নবাব ফয়জুন্নেছার বাড়ি, সঙ্গীতজ্ঞ শচীনদেব বর্মণের বাড়ি, রাজেশপুর বন বিভাগের পিকনিক স্পট, গোমতি নদী, পুরাতন অভয়াশ্রম (কেটিসিসিএ লি.), বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ড, কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী বেগম নার্গিসের বাড়ি, নবাব ফয়জুন্নেছার পৈতৃক বাড়ি।

কক্সবাজার


সমুদ্র সৈকত,


হিমছড়ি,
অগে্গ্মধা ক্যাং, আদিনাথ মন্দির, সোনাদিয়া দ্বীপ, রামকোর্ট, লামারপাড়া ক্যাং, ইনানী, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, মাথিনের কূপ,


 বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক।
ফেনী

সোনাগাজী মুহুরি সেচ প্রকল্প, পাগলা মিয়ার মাজার, শিলুয়ার শীল পাথর, রাজাঝির দীঘি, মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মসজিদ ও বাসভবন, চাঁদগাজী মসজিদ, ফেনী সরকারি কলেজ ভবন, মহিপালের বিজয় সিংহ দীঘি।
খাগড়াছড়ি

আলুটিলা, আলুটিলার সুড়ঙ্গ বা রহস্যময় গুহা, দেবতার পুকুর, ভগবানটিলা, দুই টিলা ও তিন টিলা, আলুটিলার ঝরনা, পর্যটন মোটেল, খাগড়াছড়ি, পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, মহালছড়ি হ্রদ, শতায়ু বটগাছ।
লক্ষ্মীপুর

দালালবাজার জমিদারবাড়ি, কামানখোলা জমিদারবাড়ি, তিতা খাঁ জামে মসজিদ, জিনের মসজিদ, খোয়া সাগর দীঘি, মটকা মসজিদ।
নোয়াখালী

পাবলিক লাইব্রেরি, গান্ধী আশ্রম, বজরা শাহী জামে মসজিদ, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোঃ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর, নিঝুম দ্বীপ।
রাঙ্গামাটি

কর্ণফুলী হ্রদ, পর্যটন মোটেল ও ঝুলন্ত সেতু, সুবলং ঝরনা, উপজাতীয় জাদুঘর, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, জেলা প্রশাসক বাংলো, জেলা প্রশাসক এলএইচ নিবলেটের সমাধি।

খুলনা বিভাগ


বাগেরহাট

ষাট গম্বুজ মসজিদ,


খানজাহান আলীর (রহ.) মাজার,
 সিঙ্গাইর মসজিদ, বিবি বেগনী মসজিদ, চুনখোলা মসজিদ, পীর আলী মুহাম্মদ তাহেরের সমাধি, এক গম্বুজ মসজিদ, নয় গম্বুজ মসজিদ, সাবেক ডাঙ্গা পুরাকীর্তি, রণবিজয়পুর মসজিদ, জিন্দাপীর মসজিদ, রেজা খোদা মসজিদ, খানজাহানের বসতভিটা, ঢিবি, কোদলা মঠ, ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী শহীদ কৃষক রহিমুল্লাহর বাড়ি, মোরেলের স্মৃতিসৌধ, ১৮৬৩ সালে তৎকালীন এসডিও মংলা পোর্ট, চিলা চার্চ, কবি রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর সমাধি, প্রফুল্ল ঘোষের বসতবাড়ি, নীলসরোবর, জমিদার ক্ষিতিষ চন্দ্রের বসতবাড়ির ধ্বংসাবশেষ, শাহ আউলিয়াবাগ মাজার, হজরত খানজাহান আলীর (রহ.) সহচর পীর শাহ আউলিয়ার মাজার, নাটমন্দির, রামজয় দত্তের কাছারিবাড়ি। ব্রিটিশ সেনাদের পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। কৃষ্ণমূর্তি, গোপাল জিউর মন্দির, লাউপালা, যাত্রাপুর, দুবলার চর, কটকা, কচিখালি, সুন্দরবন।
চুয়াডাঙ্গা

ঘোলদাড়ি জামে মসজিদ, তিয়রবিলা বাদশাহী মসজিদ, আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন, হজরত খাজা মালিক উল গাউসের (রহ.) মাজার (গড়াইটুপি অমরাবতী মেলা), দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোং লি., দর্শনা রেলস্টেশন, দর্শনা শুল্ক স্টেশন, দর্শনা ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস চেকপোস্ট, নাটুদহ আটকবর, নাটুদহ, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, চারুলিয়া, কার্পাসডাঙ্গা, তালসারি, দত্তনগর কৃষি খামার, ধোপাখালী মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থান, কাশিপুর জমিদারবাড়ি, ধোপাখালী শাহী মসজিদ।
যশোর

হাজী মুহাম্মদ মহসিনের ইমামবাড়ী, মীর্জানগর হাম্মামখানা, ভরত ভায়না মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি, ভাতভিটা, সীতারাম রায়ের দোলমঞ্চ, গাজী-কালু-চম্পাবতীর কবর, বাঘানায়ে খোদা মসজিদ, পাঠাগার মসজিদ, মনোহর মসজিদ, শেখপুরা জামে মসজিদ, শুভরাঢ়া মসজিদ, মীর্জানগর মসজিদ, ঘোপের মসজিদ, শুক্কুর মল্লিকের মসজিদ, নুনগোলা মসজিদ, কায়েমকোলা মসজিদ, বালিয়াডাঙ্গা সর্বজনীন পূজামন্দির, দশ মহাবিদ্যামন্দির, অভয়নগর মন্দির, পঞ্চরত্ন মন্দির, ভুবনেশ্বরী দেবীর মন্দির, রায়গ্রাম জোড়বাংলা মন্দির, লক্ষ্মীনারায়ণের মন্দির, মুড়লি শিবমন্দির, জোড়বাংলার দশভুজার মন্দির, চড়ো শিবমন্দির।
ঝিনাইদহ

নলডাঙ্গা মন্দির, মিয়ার দালান, কেপি বসুর বাড়ি, গোড়ার মসজিদ, মিয়ার দালান, গলাকাটা মসজিদ, জোড়বাংলা মসজিদ, সাতগাছিয়া মসজিদ, জাহাজঘাটা হাসিলবাগ গাজী-কালু-চম্পাবতীর মাজার, বলু দেওয়ানের বাজার, দত্তনগর কৃষি খামার, শৈলকুপা শাহী মসজিদ ও মাজার, শৈলকুপা রামগোপাল মন্দির, মরমি কবি পাঞ্জু শাহের মাজার, শৈলকুপা শাহী মসজিদ, কামান্না ২৭ শহীদের মাজার, সিরাজ সাঁইয়ের মাজার, ঢোলসমুদ্র দীঘি, মল্লিকপুরের এশিয়ার বৃহত্তম বটগাছ।
খুলনা

সুন্দরবন, রেলস্টেশনের কাছে মিস্টার চার্লির কুঠিবাড়ি, দক্ষিণডিহি, পিঠাভোগ, রাড়ুলী, সেনহাটি, বকুলতলা, শিরোমণি, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের সমাধি সৌধ, চুকনগর, গল্লামারী, খানজাহান আলী কর্তৃক খননকৃত বড় দীঘি, মহিম দাশের বাড়ি, খলিশপুর সত্য আশ্রম।
কুষ্টিয়া

শিলাইদহ কুঠিবাড়ী, লালন শাহের মাজার, মীর মশাররফ হোসেনের বাস্ত্তভিটা, ঝাউদিয়ার শাহী মসজিদ, আড়-য়া পাড়ার নফর শাহের মাজার, কুমারখালী বাজারে দরবেশ সোনা বন্ধুর মাজার এবং সাফিয়ট গ্রামের জঙ্গলী শাহের মাজার, জর্জবাড়ী, মুহিষকুন্ডি নীলকুঠি, কালীদেবী মন্দির, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘মুক্তবাংলা’।
মাগুরা

রাজা সীতারাম রায়ের রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ, সুলতানী আমলে প্রতিষ্ঠিত মাগুরা আঠারখাদা মঠবাড়ি, সিদ্ধেশ্বরী মঠ, ভাতের ভিটা পুরাকীর্তি, শ্রীপুর জমিদারবাড়ি, মোকাররম আলী (রহ.) দরগাহ, শত্রুজিৎপুর মদনমোহন মন্দির।
মেহেরপুর

মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ ও ঐতিহাসিক আম্রকানন, মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স, পৌর ঈদগাহ, মেহেরপুর পৌর কবরস্থান, মেহেরপুর পৌর হল, মেহেরপুর শহীদ স্মৃতিসৌধ, আমদহ গ্রামের স্থাপত্য নিদর্শন, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, আমঝুপি নীলকুঠি, ভাটপাড়ার নীলকুঠি, সাহারবাটি, ভবানন্দপুর মন্দির।
নড়াইল

সুলতান কমপ্লেক্স, বাধাঘাট, নিরিবিলি পিকনিক স্পট, অরুনিমা ইকো পার্ক, চিত্রা রিসোর্ট, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ নূর মোহাম্মদ শেখ কমপ্লেক্স।
সাতক্ষীরা

সুন্দরবন, মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত, যশোরেশ্বরী মন্দির, হরিচরণ রায়চৌধুরীর জমিদারবাড়ি ও জোড়া শিবমন্দির, যিশুর গির্জা, মোজাফফর গার্ডেন অ্যান্ড রিসোর্ট, মায়ের মন্দির, মায়ি চম্পার দরগা, জোড়া শিবমন্দির, শ্যামসুন্দর মন্দির, চেড়াঘাট কায়েম মসজিদ, তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ, গুনাকরকাটি মাজার, বুধহাটার দ্বাদশ শিবকালী মন্দির, টাউন শ্রীপুর, দেবহাটা থানা, প্রবাজপুর মসজিদ, নলতা শরীফ।
সুত্রঃ http://blog.acholbd.com/category/journey/

প্রাকৃতিক নৈগসির্গক রিমঝিম ঝরনা খৈয়াছড়া !

বিদেশ বিদেশ ভ্রমন,কেন নয় দেশ, আসুন দেশকে ভালবাসি

                   রিমঝিম ঝরনা খৈয়াছড়া! 


প্রকৃতি আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে


মো. জাভেদ-বিন-এ-হাকিম, দৈনিক আমার দেশ 

ঝুম বৃষ্টিতে ঝরনা দেখব, কিন্তু হাতে সময় মাত্র একদিন। বন্ধুদের নিয়ে আলোচনা হল, কোন দিকটায় যাওয়া যায়। মোস্তাক ও কবির আবদার করল বন্ধু খৈয়াছড়া চল। আমি রাজি হতেই দৈ-ছুট ভ্রমণ সংঘের দশ বন্ধু পুরো প্রস্তুতি নিয়ে নেয়। দিন তারিখ সময় গাড়ি সব রেডি। যাওয়ার দেড় দিন আগে মিরসরাইর স্থানীয় পাক্ষিক খবরিকা পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান পলাশ ভাই ফোন দেন, জাভেদ ভাই ভ্রমণ তারিখ পরিবর্তন করুন। কারণ জানতেই বলেন মীরসরাইতে অঝোর ধারায় বৃষ্টি। ঝরনায় যাওয়ার পথ খুবই রিস্কি। ওমা বলে কি! আরে ভাই ঝুম বৃষ্টিই তো আমরা কামনা করি। ওকে ডান ,আপনারা পারলে আমার সমস্যা নাই। শুক্রবার ভোর পাঁচটায় গাড়ী ছাড়ে। দাউদকান্দির পর থেকেই শুরু হয়ে যায় যানজটের তেলেসমাতি, মাঝে নাস্তা আর জুম্মা নামাজের বিরতি, দুপুরের খাবারে ভাতের বদলে সমুচা খেয়ে সময় সাশ্রয় করার পরও মিরসরাই বাজারে পৌঁছাতে বেলা বাজে তিনটা, সকাল এগারটা থেকে অপেক্ষায় থাকা মিরসরাইর অকুতোভয় সাংবাদিক দৈনিক জনকন্ঠের রাজিব মজুমদার পাক্ষিক প্রকাশের কর্মকান্ডে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তবু ওনারা হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে আমাদের বরণ করেন, কালবিলম্ব না করে স্থানীয় এক তরুনকে আমাদের সঙ্গে দিয়ে দেন। মাইক্রো বড়তাকিয়া গিয়ে বামে মোচড় নেয়। রেললাইন পর্যন্ত গিয়ে গাড়ী থামে। এবার হেটে যেতে হবে, প্রায় তিন কিলোমিটার। চারপাশে যে নৈসর্গিক দৃশ্য-তাতে ত্রিশ মাইল হাটলেও গায়ে লাগবে না।গ্রামের মেঠো পথ বাড়ির উঠান খেতের আইল ধরে হাটি, একটা সময় পাহাড় আর ঝোপ ঝাড়ের আড়ালে সূর্য লুকায়। ঘড়ি দেখি, না এখনো দিন ফুরোনোর সময় রয়েছে আরো বাকি। নব উদ্যোমে পা দুটো কে আরো বেশি সচল করি,নতুন কিছু দেখতে পাব এই আশায় বুক বেধে এগিয়ে যাই, এক সময় পেয়ে যাই ঝিরি। এখন ট্রেইল হবে ভিন্ন রকম মুলিবাঁশের সাঁকো, ঝিড়ির ঠান্ডা পানি আবার কখনোবা হাটু পর্যন্ত দেবে যাওয়া রসালো কাঁদা মাড়ানো পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছে যাই দীর্ঘ দিন ভ্রমণপিপাসুদের চোখের অন্তরালে থাকা রিমঝিম শব্দ তুলে আপন গতিতে গড়িয়ে পড়া খৈয়া ছড়া ঝরনা। ওহ্! আল্লাহ্ কত সুন্দর তোমার মহিমা! চার পাশে ঘন সবুজ অরন্য,তার মাঝে মনেতে রঙ ধরানো খৈয়াছড়া। কিছুটা সময় অবাক বিস্বয়ে তাকিয়ে রই। প্রায় আশি ফিট উচ্চতা থেকে ২০ থেকে ২৫ ফিট ব্যাসার্ধ নিয়ে তীব্র গতিতে পানি পড়ে। হতাশার অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া যে কোন মানুষই খৈয়াছড়ার রূপ-লাবণ্যে মুগ্ধ হয়ে নিজেকে নতুন করে সাজাবে নিস্বন্দেহে! পানির ক্ষিপ্রতায় ঝর্ণার সামনে ব্যসিন সৃষ্টি হয়েছে। সেই হিম হিম ঠান্ডা পানিতে জসিমের কি যে ফুর্তী আর আর দে-ছুটের নিজস্ব ফটো গ্রাফার হিসেবে সীকৃতি পাওয়া ইফতেখার ভবিষ্যত্এ আরো বড় মাপের আলোক চিত্রকার হবে সেই বাসনায় ডি এস এল আরের বাটন টিপতে টিপতেই অস্থির। ঝরনার উপচেপড়া যৌবনের শীতল পানিতে দীর্ঘ সময় গোসল করি,যেন ভেজাঁর শখ মিটেনা! যে কোন ঝরনার আসল রূপ সৌন্দর্য দেখার সুবর্ণ সময় হল আগষট ও সেপ্টেম্বর। খৈয়াছড়া ঝরনার আশে পাশেও আরো বেশ কয়েকটি ছোট ছোট ঝর্না আছে। সম্পূর্ণ বুনো পরিবেশে খেয়া ছড়া ঝর্ণার অবস্থান।দেশের বিশেষ কয়েকটি ঝর্নার মধ্যে খৈয়াছড়া ঝর্নার ভৌগলিক সৌন্দর্য বর্ণনাতীত। ইচ্ছে করলে জোসনা রাতে ক্যাম্প করে জম্পেশ আড্ডা জমিয়ে রাত কাটানো যাবে। যতদূর জানা যায় দূর দূরান্ত হতে আগত প্রকৃতিপ্রেমীরা রাত কিংবা দিন নিরাপদে সময় কাটাতে পারবে। কান পাতলেই শুনতে পাবে মায়া হরিণের ডাক। গান শুনতে চাইলে একটু বনের ভিতর ঢুকলেই শুনতে পাবেন নাম না জানা পাখির মিষ্টি সুরেলা আওয়াজ। খৈয়াছড়া ঝরনার মোট নয়টি ধাপ, বেশির ভাগ ভ্রমণপিপাসুরা প্রথমটি দেখেই আত্মতৃপ্তিতে ভোগে কিন্তু আমরা তো আর তেমনটি নই। সদ্য মটরবাইকে আহত মোস্তাক পরের ধাপগুলো দেখার জন্য বায়না ধরে। উঠতে শুরু করি পিচ্ছিল খাড়া পাহাড় বেয়ে। রিস্কি ট্রাকিং-এ মোতাহের কে দারুন মিস করি। সময়ের অভাবে সব গুলি ধাপ দেখতে না পেলেও দ্বিতীয় ধাপটি বেশ চমত্কার, আরো বেশি আকর্ষণীয় অথচ রয়েছে কতটা অবহেলায়। খৈয়া ছড়া ঝর্ণার অবস্থান- আকৃতি- পরিধি- প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্য- রোমাঞ্চকর ট্রেইল সব কিছু মিলিয়ে প্রকৃতির এক অনন্য সুন্দর লীলাখেলা। সরকার যদি খৈয়াছড়া ঝর্নার অবকাঠামোর প্রতি নজর দেন তাহলে বাংলাদেশের মধ্যে অন্যান্য বৃহদাকার প্রাকৃতিক জলপ্রপাত থেকে খৈয়াছড়া ঝরনাই হবে দূরত্বের দিক থেকে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য সব চাইতে নিকটতম আকর্ষণীয় বিশালাকার ঝরনা।
যোগাযোগ : ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ে রোডের পাশে বড় তাকিয়া এলাকায় গিয়ে বাম পাশের গ্রামের রাস্তা ধরে এগুতে হবে। বাস থেকে নামতে হবে মিরসরাই বাজার অথবা বাড়ীহাট। রিজার্ভ কিংবা নিজস্ব বাহনে গেলে খৈয়া ছড়া ঝরনার তিন কিলোমিটার আগে রেললাইনের পর্যন্ত যাওয়া যাবে, খরচ জনপ্রতি দুই হাজার পাঁচশ টাকা। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের রাতের বাসে অথবা মাইক্রোতে গিয়ে দিনে দিনে ঘুরে আসা যাবে। মিরসরাই বাজার হতে ঝিরি পর্যন্ত সিএনজি যায়। গাইড হিসেবে তিনশ-পাচশ টাকার বিনিময়ে রেললাইনের পাশের দোকানগুলো থেকে গ্রামের কিশোর-তরুণদের সঙ্গে নেয়া যাবে।

টিপস :

* খেয়াল রাখবেন আপনার অতি উচ্ছ্বাসের কারণে যেন প্রকৃতির কোন ক্ষতি না হয়
* সঙ্গে নেয়া খাবারের পলি প্যাকেট সাথে নিয়েই ফিরুন
* ঝরনার পানিতে গোসলের জন্য অতিরিক্ত কাপড় সাথে নিন
* অশালীন পোশাক পরিহার করুন
* যত খুশি দুই নয়ন দিয়ে দেখুন, মন ভরে উপভোগ করুন আর মনে মনে বলুন, আমি দেখছি—ভবিষ্যত্ প্রজন্মকেও দেখাবো। সুতরাং প্রকৃতির দেয়া সম্পদ ধ্বংস না করি।

চমক লাগানো ঢাকার ৮ টি মনোরম স্থান

চমক লাগানো ঢাকার যে ৮ টি মনোরম স্থান 

ঢাকার যে ৮ টি মনোরম স্থান নিমিষেই আপনার মন ভালো করে দেবে! 

আপনার অনেক মন খারাপ করছে, বুক ভরে নিশ্বাস নিতে পারছেন না, বদ্ধ ঘরের মধ্যে আরও বেশি দম বন্ধ হয়ে আসছে। এই করুণ অবস্থাতে আপনি কী করতে পারেন? ঢাকার মত একটি যান্ত্রিক শহরে কও্ভাববে পেতে পারেন একটুখানি খোলা হাওয়া? আর চিন্তা করতে হবে না। ঢাকার চারপাশে ভালো করে খেয়াল করে দেখুন এমন যান্ত্রিকতার মাঝেও এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে গেলে মন এমনিতেই অনেক ভালো হয়ে যায়। সত্যি বলছি, একেবারে মিথ্যা নয়। বিশ্বাস না হলে মন খারাপের মুহূর্তে একবার যাচাই করে দেখতে পারেন। ঘুরে আসতে পারেন এসব জায়গায়। শুধু মনে মনে বিশ্বাস রাখতে হবে আপনার মন ভালো হবেই।

১. হাতিরঝিল :

বর্তমানে হাতিরঝিল সবাই চেনেন। না দেখলে বিশ্বাস হবে না যে এই হাতিরঝিল ছবির তুলনায় বাস্তবে এতটাই সুন্দর। হাতিরঝিলের এই প্রকল্পটি ২০০৭ সালে অনুমোদিত হয় মূলত রাজধানীর বাড্ডা, মৌচাক, গুলশান, রামপুরা, তেজগাঁও এবং মগবাজারের যানজট কমানোর জন্য। কিন্তু প্রকল্পটি এমন সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে যে অনেক ঢাকাবাস্ইী বর্তমানে তাদের অবসর সময় কাটাতে এই হাতিরঝিলে ছুটে যান। আপনার যদি সত্যিই মন খারাপ হয়ে যায় কোনো এক সময় আপনিও চলে যেতে পারেন এই হাতিরঝিলে। এর সুমধুর খোলা বাতাস আপনার মনকে নিমেষেই ভালো করে দিতে পারে। সন্ধ্যার দিকে যে আলোর খেলা দেখা যায় সেটিও আপনার মনকে ভালো করে দিতে বাধ্য। তাই এবারের মন খারাপে বাসায় গুটিসুটি মেরে বসে না থেকে চলে যান এই সুন্দর জায়গাটিতে।

২. আশুলিয়া :

সাভারের পরে আশুলিয়া এমন একটি সুন্দর জায়গা যেটিকে অনেকেই ঢাকার সমুদ্র সৈকত বলে আখ্যা দিয়ে থাকেন। সমুদ্র সৈকতের আবহাওয়া পাওয়া যাবে এই জায়গাটিতে। বিশেষ করে বর্ষাকালে দিগন্ত বিস্তৃত পানি আর পানির ঢেউ আপনাকে ভুলিয়ে দেবে মনের সকল কষ্ট। শরৎকালে আকাশের উপরে মেঘের খেলা আর নিচে ছলছলে পানি আপনার মনকে করে তুলবে আনন্দিত। আপনি মন ভরে উপলব্ধি করতে পারবেন সৌন্দর্যের মোহনীয়তা। আপনি চাইলে এই আশুলিয়াতে নৌকা ভ্রমণও করতে পারবেন। নৌকা ভ্রমণে আপনার মন আরও অনেক বেশি সতেজ হয়ে পড়বে। দেখবেন মন কখন যে ভালো হয়ে গেছে আপনি নিজেও জানেন না।

৩. সাফারি পার্ক :

গাজীপুরের সাফারি পার্কের নাম অনেকেই হয়ত শুনে থাকবেন। আবার অনেকে আছেন যারা গিয়েছেনও। মন খারাপের সময়ে বিভিন্ন পশুপাখির সাথে যদি কিছু সময় কাটান তাহলে অবশ্যই আপনার অনেক ভালো লাগবে। এমনই একটি পার্ক হল এই সাফারি পার্ক। যেখানে রয়েছে অনেক পশুপাখি। কিন্তু মজার বিষয় হল আমরা সচরাচর চিড়িয়াখানাগুলোতে দেখি যে পশুপাখি খাঁচার মধ্যে থাকে, এখানে আপনি নিজেই খাঁচার মধ্যে থাকবেন আর চারপাশে খোলা জায়গায় থাকবে ভয়ঙ্কর সব পশুপাখি। এমন অদ্ভুৎ নিয়ম দেখে আপনার মন এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে, আর পশুপাখিদের অনেক কাছ থেকে দেখে আরও বেশি ভালো লাগবে।

৪. কুড়িল ফ্লাইওভার :

আপনি হয়ত ভাবছেন যে ফ্লাইওভারে কিভাবে মন ভালো করা যায়। এর উত্তরে বলতে হয় আপনি যদি সৌন্দর্যটাকে উপলব্ধি করতে পারেন তাহলে সেই সৌন্দর্যের নির্যাস আপনার মনকে ভালো করে দিবে। আপনি যখন একটি সুন্দর জিনিস দেখেন তখন আপনার মনে এ ধরনের ভালোলাগা তৈরি করে। আর তা থেকেই আপনার খারাপ মন ভালো হয়ে যেতে পারে। রেডিসনের পরের এই কুড়িল ফ্লাইওভারটি এত সুন্দর আপনি চাইলেই এই সৌন্দর্য দেখার জন্য সেখানে চলে যেতে পারেন। এই ফ্লাইওভারটি থেকে যেন সমস্ত ঢাকা শহরকে দেখা যায়। যদিও সেখানে নেমে দেখাটা খুবই বিপজ্জনক। সন্ধ্যার পরে এর সৌন্দর্য আরও অনেক বেশি বেড়ে যায়। তাই মন খারাপের যেকোনো মুহূর্তে চলে যেতে পারেন এই কুড়ি ফ্লাইওভারটিতে।

৫. মিরপুরের এয়ারপোর্ট রোড ফ্লাইওভার :

বাংলাদেশে তৈরি সুন্দর ফ্লাইওভারগুলোর মধ্যে এটিও অন্যতম। মিরপুর ১২ এর পর থেকে শুরু হয়ে শেষ হয়েছে এয়ারপোর্টের কাছাকাছি গিয়ে। এটি থেকেও ঢাকার বেশ কিছু এলাকা দেখা যায়। আপনি যদি মিরপুরের বাসিন্দা হয়ে থাকেন তাহলে মন খারাপের মুহূর্তে চলে যেতে পারেন এই মিরপুরের ফ্লাইওভারে।

৬. ধানমন্ডি লেক :

ধানমন্ডি লেক এখন ঢাকার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে একটি। ১৯৯৫ সালে সংস্কার করে লেকটিকে নতুন রূপ দেয়া হয়। ২০১৩ সাল হতে এর সংস্কারের কাজ পুরোদমে আবার শুরু হয়েছে। ঢাকার হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, কলাবাগান, মিরপুর রোড ও শুক্রাবাদ এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে ধানমন্ডি লেকের বিশাল অবস্থান। গাছ-গাছালি, লেক, দৃষ্টি নন্দন লোহার সেতু ,পানির ফোয়ারা, লেকের পাড়ের ছোট কুটির ইত্যাদি মিলিয়ে লেকটি বেশ আকর্ষণীয় বলা যায়। ধানমন্ডি লেকটির নির্দিষ্ট কোনো খোলা ও বন্ধের সময়সূচী নেই তবে ভোর ৫.০০টা থেকে রাত ১০.০০টা পর্যন্ত দর্শনার্থী অবস্থান করতে পারবেন। লেকটিতে প্রবেশের জন্য কোন টিকেটের প্রয়োজন হয় না। আপনার মন খারাপ হলে চাইলেই এই লেকটিতে চলে যেতে পারেন। দেখবেন আশেপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশে আপনার মন বেশ ভালো হয়ে উঠেছে।

৭. গুলশান লেক :

গুলশান ঢাকার একটি অভিজাত এলাকা। গুলশান এবং বনানীর মাঝামাঝিতে অবস্থিত গুলশান লেকটিও বেশ সুন্দর দেখতে। বিশেষ করে রাতের বেলায় এর শোভা বেড়ে যায় শতগুণ। আপনার মন খারাপ হলে চলে যেতে পারেন গুলশান লেকে। গুলশান লেকের উপরে যে ব্রীজটা রয়েছে সেই ব্রীজে বসে থেকেও অবলোকন করতে পারেন এর সৌন্দর্য। প্রয়োজনে কোনো খাবার কিনে নিয়ে গিয়েও একা একা বসে খেতে পারেন। ঢাকার মত ব্যস্ত একটি জায়গায় এই জায়গাটি আপনার অনেক ভালো লাগবে।

৮. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় :

হ্যাঁ আপনি যা ভাবছেন তাই, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে আপনি সম্পূর্ণভাবে একটা সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশ পেয়ে থাকবেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি এমনিতেই শীতের মৌসুমে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এখানে আসা শীতের পাখিগুলোর জন্য। সাইবেরিয়া ও অন্যান্য দেশ থেকে আসা এই শীতের পাখিগুলোকে দেখতে প্রতি শুক্রবারেই ক্যাম্পাসে ভিড় করে বহু সংখ্যক মানুষ। এছাড়া গরমের মৌসুমেও একটুখানি হিমেল হাওয়া পেতে ভিড় করে ঢাকাবাসীরা। সবুজে ঘেরা এই ক্যাম্পাসটি এমনিতেই অনেক বেশি শীতল থাকে। তাই আপনার যদি কোনো কারণে মন খারাপ হয়ে থাকে তাহলে এই ক্যাম্পাসটিতে ঘুরে আসতে পারেন। দেখবেন সবুজের ছোঁয়ায় এবং ছাত্রছাত্রীদের তারুণ্যতা দেখে আপনার মন নিমেষেই ভালো হয়ে যাবে।
সূত্র -Farzana Rinky ,  টেক প্রিয়।

- Copyright © পর্যটন হোক উন্নতির হাতিয়ার - Skyblue - Powered by Blogger - Designed by Johanes Djogan -